ত্বকের যত্নের জন্য যেসব ফল ব্যবহার করবেন ।কোন ফল খেলে ত্বক ফর্সা হয়
আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালোই আছেন।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি নতুন একটি পোস্ট। কিন্তু একটা কথা হলো যদি পোস্ট টি আপনার ভালো লাগে তাহলে মন্তব্য বা পরমর্শের জন্য কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
যাই হোক আজকের আর্টিকেল এর মূল বিষয় হলোঃ আপনার ত্বকের যত্নে যেসব ফল ব্যবহার করবেন । ফল দিয়ে কিভাবে ত্বকের যত্ন নিবেন।
তো চলুন বিস্তারিত আর্টিকেল এ চলে যাই।
বিস্তারিত পোস্টঃ
ত্বকের যত্নের জন্য সাধারণত আমরা ফল খেয়ে থাকি। কিন্তু কিছু কিছু ফল রয়েছে যে গুলো সরাসরি ত্বকে লাগানো যায়। এসব ফল আপনার তারুণ্য ধরে রাখতে অনেক সাহায্য করে। এগুলোর মাস্ক বানানোর তেমন কোনো প্রয়োজন পড়ে না। আসুন আজ আমরা জেনে নেই এমন কিছু ফলের নাম যা সরাসরি আপনার ত্বকে লাগাতে পারবেন। যা আপনার তারুণ্যকে উজ্জ্বল এবং সৌন্দর্য ধরে রাখবে।
কলাঃ
Banana |
কলা আপনি চাইলে সরাসরি আপনার ত্বকে লাগাতে পারবেন।ত্বকের পোড়া ভাব কমাতে কলা খুবই উপকারে আসে।
যেভাবে লাগাবেনঃ
ছোট বা মাঝারি একটি কলা নিন। একে হাত দিয়ে ভালোভাবে চটকে নিন। এবার এই কলা আপনার মুখের মধ্যে লাগিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
তরমুজঃ
তরমুজ তরমুজ ফল খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি ত্বকের টোনার ও অ্যান্টি এইজিং উপাদান হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার ত্বকের বাড়তি তেল উৎপাদন কমাবে এবং ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ করবে।
যেভাবে লাগাবেনঃ আপনি কয়েকটি তরমুজের টুকরো নিয়ে ব্ল্যান্ডারে ব্ল্যান্ড করে নিন। এবং এই তরমুজের জুসকে তুলার বলের মধ্য দিয়ে মুখের মধ্যে মাখুন। ১০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
স্ট্রবেরিঃ
স্ট্রবেরির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি। স্ট্রবেরি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ কয়েকটি স্ট্রবেরি নিয়ে ব্ল্যান্ড করে নিন। তারপর ব্ল্যান্ড করা হয়ে গেলে তা মুখে মাখুন। ২০
মিনিট পর হালকা কুশুম গরম পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন।
আপেলঃ
আপেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আপনার ত্বকের টেক্সচার ভালো করার জন্য নিয়মিত আপনি আপেল ব্যবহার করতে পারেন।
যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ
আপেল কেটে টুকরো টুকরো করুন।টুকরোগুলো ব্ল্যান্ডার দিয়ে ব্ল্যান্ড করে নিন। তবে এর মধ্যে আপনি কোনো পানি মেশাবেন না। এই মিশ্রণ দিয়ে আপনি ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ৩০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আজকের আর্টিকেল টি এই পর্যন্তই। আজকের পোস্টটি আমি এখানেই শেষ করছি। এই পোস্টটি আপনাদের কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ্য থাকবেন।
ধন্যবাদ।